অনন্ত অলস অজস্র আখি
কেমন করে যেন বেঁচে থাকি
একটা দূর্গন্ধযুক্তশরীর প্রতিদিন
ধুয়ে মুছে সাফ করে
মানুষের মত করে এই শহরের এমাথা
ওমাথা ঘুরে এসে মায়ের মুখ দেখে ঘুমিয়ে পড়ি।
বেঁচে থাকলেই যেন সুখ পেতে হবে
যেন এটা একটা প্যাকেজ ডিল
চারিত্রিক সনদপত্রের প্রতিবেদনে থাকতে হবে
যদিও ওই সনদের পাতাটিতে কিছু প্রমানের দাবী নেই।
এভাবেই হেঁটে হেঁটে , ঘুরে ঘুরে
অনন্ত অলস অজস্র আখির পর্দা ঘুরে
মনে পড়ে থাকে কোন নারীর ভূষণ
আর তার মিথ্যা কাঙ্খিত অভিনয়
এভাবেই বেঁচে আছি
যদি একে বেঁচে থাকা বলে আর কি
এভাবে মরে গেলেও কেউ ভাব্বেনা
ভাববার জন্য সময় বরাদ্দ রাখেনি
দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারকেরা।
হাসি তবু,
তবু গা ভাসিয়ে , গলা ফাটিয়ে
বলি আমি ভালোআছি
এভাবেই নাকি বেঁচে থাকা যায়
বেঁচে থাকার সকল উপকরন
বেঁচে দেয়ার জন্য নিলামে দেই,
অন্তর্জালের হেয়ালি বাজারে।
বাজারের দরপত্রেই যেন বেঁচে থাকার প্রমান দেয়া
আর কেউ নয় ,
কেমন যেন পানসে ,
সতীর্থের মৃত্যু ছাড়া যেন কোন
উত্তেজক নেশার বড়ি নেই ,
লাশ হয়ে বেঁচে থাকার ।
তবু বাঁচতে থাকি
কতটুকু করে ক্লান্তি নিয়ে
বাচা যায় তার হিসাব কষে
বাঁচতে থাকি।
কারো দলে পাইনা
কারো সাথে খাইনা
শুধু বাঁচি
রাতে ঘুমের ঘোরেও
মস্তিষ্ক চিৎকার করে বলতে থাকে
ঘুমিয়ে থাকা মিথ্যে হয়ে যাওয়া সব পুরানো কেচ্ছা
আর শ্লেষের সুরে বলে
তুমি বেঁচে আছো জীবন!
ছবিঃ লেখক