এখন আর নাবিকের প্রয়োজন নেই
কারো জন্য এই জীবন থেমে থাকেনা এটা যেমন সত্য, তেমনি কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করেও এ জীবন বসে থাকেনা। গল্প আগায় তার নিজের মত করে, নিজস্ব গতিতে। অনেক দূরে চলে যায়, একেক সময় মনে হয় অনেক দুরের নৌকাগুলর মত। একেকটা মেলামেশার যায়গা বা সার্কেল এ বেড়ে উঠে মানুষ সেই দলের ভিতর কিংবা অনেক সময় দলছুট এভাবে এগিয়ে যায়।
কত মানুষের সাথেই তো দেখা হয় প্রতিদিন, কথা হয় সময়ে অসময়য়ে
কিন্তু, ঠিক কতদূর থেকে তাদের মনে পড়ে
সব কথা তো স্মৃতিতে আটকা থাকেই
কিন্তু তারপরও কত কিছুই যায় হারিয়ে।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কত লক্ষ কোটী মানুষের অদৃশ্য গল্প ভেসে বেড়ায়।
কত নারী, কত পুরুষ
বার বার জেগে ওঠে , সামনে চলে যায় , পিছে আসে
নেশা ধরে, মনে জমে আকুতি
চোখে মুখে কি যেন একটা নেশা
না পেলে জীবনটাই যেন এক নিমিষে অর্থহীন মনে হয়
কারো চাই শরীর - কারো শরীরের শেষে মন।
বাকির খাতায় কেউ রেখে যেতে চায়না
কিভাবে মানুষ মানুষ খেলি আমরা
সুন্দর বারান্দা উঠোন ছাদ,
ঘর কবিতা ঘ্রাণ,
মুখস্ত রাতের অমাবস্যায় আর কোন আধার থাকেনা এই আমাদের সময়ে।
চোখে মুখে শুধু মানুষ খোঁজে
- রক্ত আর মাংস
- সুন্দর আর অসুন্দর
কি অদ্ভুত নিয়মেই চালিয়েছে এই পৃথিবী,
প্রতি পদে পদে বৈপরীত্য, কেউ কারো নয়
সব একগুয়ে কবিতার মত
ওপারের সুখ দেখে কাটিয়ে দেয়া
কিংবা অনিছায় কেটে যাওয়া দিনের বোঝা।
এ এক প্রকারের শাস্তি
মানুষের ঘ্রানে বেঁচে থাকার শাস্তি
নিজের প্রতি, নিজের জন্মের প্রতি ভালোবাসার শাস্তি।
দুনিয়ে জুড়ে খালি নেই আর নেই
যেন কখনো এ পৃথিবীর আর কিছু হবেনা
সব শেষের গল্প ঘুরছে আকাশ বাতাস
সব বিপ্লব এক হয়ে চলে গেছে নীল সমুদ্রে
এখন আর নাবিকের প্রয়োজন নেই
এখন দরকার শুধু হুকুম পালনে সক্ষম এক বিশাল সৈন্যবাহিনী
তারা অদৃশ্য হয়ে ঘুরে বেড়াবে, আর একটার পর একটা ধ্বংসযজ্ঞের আয়োজন করে উল্লাসে ফেটে পড়বে।।
- আসিফ সালমান (মে,১৭ | ঢাকা)
ছবিঃ লেখক
Save